চলে গেলেন কাজী পেয়ারা’র উদ্ভাবক কৃষিবিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আপনার উদ্ভাবিত প্রতিটি খাদ্যকণা ওপারে আপনার শান্তির উপলক্ষ হোক।
বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী, ন্যাশনাল এমিরেটাস সাইন্টিস্ট ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত কৃষি বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা বার্ধক্যজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
কাজী পেয়ারার কাজী নামটি স্যারের নামেরই একটি অংশ।
তিনি ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। ১৯৪৫ সালে তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট (বর্তমানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে পড়াশোনা করেন।
স্বল্প পরিচিত ফসল গম ও ভুট্টা চাষ সম্পর্কে জানার জন্য তিনি সুইডেনের বিশ্বখ্যাত স্তালভ গবেষণা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের পাকিস্তান অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক ও মহাপরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে তিনিই প্রথম বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল গম প্রবর্তন করার উদ্যোগ নেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ইকোনমিক বোটানিস্ট (ফাইবার) পদ লাভ করেন।
তিনি পেয়ারার একটি জাত উদ্ভাবন করেন, যা তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে ‘কাজী পেয়ারা’।
ধানের বাইরে বাংলাদেশের প্রধান দুটি দানাদার ফসল চাষ শুরুর ক্ষেত্রেও কাজী বদরুদ্দোজা নেতৃত্ব দেন। দেশে আধুনিক জাতের গম উদ্ভাবন ও চাষ শুরু করা আর ভুট্টার বাণিজ্যিক আবাদ তার হাত দিয়ে শুরু। ভুট্টা থেকে তেল উদ্ভাবন এবং তা পোলট্রিশিল্পের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার শুরুর ধারণাটিও তার কাছ থেকে আসা। ছত্রাকের গণ ‘কাজিবোলেটাস’ এর নামকরণও করা তার নাম থেকেই।
কৃষিতে অবদানের জন্য ২০১২ সালে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয় এই কৃষি বিজ্ঞানীকে।